1,174 total views
লোপাট অর্থ খুঁজছে সিআইডি
অস্বাভাবিক ছাড়ে পণ্য বিক্রির অফার দিয়ে আলোচনায় আসে ইভ্যালিসহ আরও কয়েকটি ই-কমার্স। অর্থ আত্মসাৎ ও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় র্যাব, ডিবি ও সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, এসপিসি, রিং আইডি ও কিউকম-এর মালিক ও প্রধান কর্মকর্তাদের।
এসব ঘটনায় অন্তত ৩৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ৯টি, ২৪ টিকিটের বিরুদ্ধে পাঁচটি, এসপিসি ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে চারটি, ধামাকার বিরুদ্ধে তিনটি, ইভ্যালির বিরুদ্ধে তিনটি, কিউকমের বিরুদ্ধে তিনটি, রিং আইডির বিরুদ্ধে দুটি, সহজ লাইফের বিরুদ্ধে দুটি, সিরাজগঞ্জ শপের বিরুদ্ধে একটি, নিরাপদ শপের বিরুদ্ধে একটি, র্যাপিড ক্যাশের বিরুদ্ধে একটি, থলে ও ইউকম ডটকমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ তদন্ত করতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। প্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় কীভাবে অর্থ খরচ করছে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিআইডি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অর্থ সংক্রান্ত মামলা এমনিতেই জটিল। প্রতিটি বিষয়ে হিসাব কষে এগুতে হয়। একটু সময় তো লাগবেই।’ ‘প্রতারণা কমছে’ অভিযানের পর ই-কমার্স খাতে প্রতারণা কমছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দিনে দিনে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা আরও কমবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘যারা এখন ব্যবসা করছেন, তারা ভালোই করছেন। আমরা চাই এ খাতে স্বচ্ছতা ও আস্থা বাড়ুক। সেজন্য কাজ করছি।
ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সব মনিটরিং করছি। যারা অপরাধ করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা আইন মেনে ব্যবসা করবেন, তারা সহযোগিতা পাবেন।’