749 total views
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই যে গান এখন মানুষের মুখে মুখে ও হাতে হাতে ঘুরছে একটাই গান সেটা হল বাদাম গান।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কে কখন কবে ভাইরাল হয়ে উঠবে সে কথা আগে থেকে বলাই যায় না। তবে এই গানের স্রষ্টা কিন্তু বিদেশ ঘোরা বা বিশাল জনপ্রিয় কেউ নন সে গ্রাম বাংলার এক অতি সামান্য বাদাম বিক্রেতা। তার নাম ভুবন বাদ্যকর। ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই বাদাম গানের স্রষ্টা। প্রায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ দেখেছেন এই বাদাম ভিডিও এর গান।ইতিমধ্যে এই গানের তৈরী হয়ে গেছে রিমিক্স।
ভুবন বাদ্যকরের বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুরি গ্রামে।
এই বাদাম গানের সুরে তালে তাল মেলাননি অনেক কম মানুষই আছেন। “বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম…”
এই গান ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে মানুষের স্ট্যাটাস থেকে শুরু করে ফেসবুকের ওয়ালে। আট থেকে আশি প্রায় বুঁদ হয়েছেন এই গানে।সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই বাদাম গানের ছড়াছড়ি।
ভুবন বাদ্যকরকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন “মোবাইলে আমার গান দেখছে সবাই। দেখা হলেই সবাই এসে আমার গানের প্রশংসা করে যাচ্ছে। ভালোই লাগছে।” নিজের স্বরচিত গানের এই জনবহুল প্রতিক্রিয়া দেখে একবারে খুশি তিনি। ইতিমধ্যেই নিজের গানের জন্য সেলিব্রেটি তিনি। পাড়ার লোক থেকে শুরু করে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছেন তার গান শোনার জন্য। তিনি যেই গ্রামে বাদাম বিক্রি করতে যাচ্ছেন সেখানেই তার থেকে সেই গান শোনার জন্য উদ্বুদ্ধ জনগণ তাকে ঘিরে ধরে তার গান শুনছেন। এই বিষয় নিয়ে ভুবন বাদ্যকর আরও বলেছেন , “হ্যাঁ, আমিই লিখেছি, আমারই তৈরি। আমারই সুর, আমারই গলা। চিন্তাভাবনা করতে করতেই করেছি।” তিনি আরও জানান “এর আগে বাউল গান করেছি এখন আমি ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাদাম ফেরি করি। সেই বাদাম কী করে বিক্রি করা যায়, সেই থেকেই ভাবনাচিন্তা। তারপরই গান লেখা।” তিনি আরও বলেন যে “গান শুনে বহু মানুষই বাদাম কিনতে আসছেন। কেউ ৫ টাকার বাদাম কিনছেন, কেউ ১০ টাকার। বিক্রিবাটা ভালোই চলছে।” এই বাদাম বিক্রি করেই তিনি জীবন কাটিয়ে দিতে চান এবং তিনি চান এরকম করেই তিনি যেন মানুষকে আরও খুশি করতে পারেন